
এম.বশিরুল আলম :
লামা প্রেসক্লাবের সদস্য রিপোর্টার সাহাব উদ্দিন রিটুর বসত ঘরে দু:দর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। চোরের দল ঘরে রক্ষিত ৫ভরি স্বর্ণালংকার, ১টি লেপটপ, নগদ বার হাজার পাঁচ শত টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও দামী কাপড় চোপড়সহ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। শনিবার গভীর রাতে ৭ নং ওয়ার্ডের থানা বাউন্ডারীর দু’শ্ গজের মধ্যে বড় নুনারবিল পাড়াস্থ বাসায় এই চুরি সংগঠিত হয়। রিপোর্টার সাহাব উদ্দিন রিটু লামা লাইন ঝিরি মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রার গণিত শিক্ষক। প্রতিদিনকার ন্যয় শনিবার রাত ১ টা পর্যন্ত টেলিভিশনে সংবাদ দেখে সাহাব উদ্দিন রিটু তার পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়ে। এর পর চোরের দল টয়লেটের ভ্যান্টি লেটার দিয়ে মূল ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিষপত্র নিয়ে যায়। প্রসঙ্গত : গত দু’বছরে ওই গ্রামে আশ পাশের ঘর-বাড়ি রাস্তার পাশের দোকান গুলোতে একাধিকবার চুরি সংগঠিত হয়েছে। এছাড়া লামা মাতামুরী কলেজের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন, লামা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো.কামরুজ্জামান, ফরেষ্ট অফিসনিবাসী আবু তাহের, রিপোর্টার ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সর্বশেষ খোদ ১ পুলিশ সদস্য’র ১টিসহ মোট ৫টি মোটর সাইকেল বাসা থেকে চুরি হয়ে যায়। এছাড়া এক রাতেই এই গ্রামের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজের বেশ কয়েকটি লেপটপ নিয়ে যায় চোরের দল। এসব চুরির ঘটনায় জড়িত কেউ ধরা না পড়ায়, একের পর এক চুরির ঘটনায় গ্রামবাসীদেরকে চোরাতংকে রাত কাটাতে হচ্ছে। জানাগেছে, আন্ত গ্রাম ভিত্তিক চোরদের একটি নেট ওয়ার্ক রয়েছে। এসব নেট ওয়ার্ককের সদস্যদের নামের তালিকাও রয়েছে পুলিশের কাছে। উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ চক্রের অতিত রেকর্ড পর্যালোচনায় সন্দেহের তালিকাভুক্তিদেরকে পুলিশ বিশেষ নজরে রেখেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, অনেক চোরের নাম পুলিশের তালিকায় নেই। কিছু কিছু চোর ধরা পড়ার পর, নেপথ্যে অনেকে চোরদের পক্ষাবলম্বন করায় কিছু চোর আরো দু:দর্ষ হয়ে উঠেছে। একের পর এক এ ধরণের চুরির ঘটনায় স্থানীয়দেরকে শংকিত করে তুলেছে।
গভীর রাতে গাছ-বাঁশ বা লাকুরীর গাড়ি কর্তব্যরতদের চোখ ফাঁকি দিতে না পারলেও পুলিশ সার্কেল অফিসারের কার্যালয় থেকে মাত্র কয়েক গজের মধ্যে একটি বসত ঘরে এ ধরণের চুরি অবাক বিষয়, এমন মন্তব্য স্থানীয়দের।
পাঠকের মতামত